BCB বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অনন্য নক্ষত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছেন তিনি। তবে ২০২৫ সালের বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেককে অবাক করেছে। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন? এর প্রভাবই বা কী হতে পারে? চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মাহমুদউল্লাহ কেন চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সম্প্রতি ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে ২২ জন ক্রিকেটারকে ৫টি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে। তবে মাহমুদউল্লাহ নিজেই বিসিবিকে অনুরোধ করেছেন তার নাম এই চুক্তি থেকে বাদ দিতে।
এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকটি কারণ এর পেছনে থাকতে পারে:
- ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ধীরে ধীরে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।
- খেলার ভবিষ্যৎ: বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মাহমুদউল্লাহর ভূমিকা কমে আসতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
- ফর্ম ও ফিটনেস: সম্প্রতি দলের সাথে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়া এবং ফিটনেসের চ্যালেঞ্জও একটি বড় কারণ হতে পারে।
BCB কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
নতুন তালিকায় একমাত্র এ+ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ। অন্যান্য বিভাগে যারা আছেন:
এ গ্রেড:
- নাজমুল হোসেন শান্ত
- মেহেদী হাসান মিরাজ
- লিটন দাস
- মুশফিকুর রহিম (এক ধাপ নিচে নেমে গেছেন)
বি গ্রেড:
- মুমিনুল হক
- তাইজুল ইসলাম
- মোস্তাফিজুর রহমান
- তাওহিদ হৃদয়
- হাসান মাহমুদ
- নাহিদ রানা
সি গ্রেড:
- সাদমান ইসলাম
- সৌম্য সরকার
- জাকের আলী অনিক
- তানজিদ হাসান তামিম
- শরিফুল ইসলাম
- রিশাদ হোসেন
- তানজিম হাসান সাকিব
- শেখ মেহেদী হাসান
ডি গ্রেড:
- নাসুম আহমেদ
- সৈয়দ খালেদ আহমেদ
চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার প্রভাব
মাহমুদউল্লাহর মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
দলে তরুণদের সুযোগ বৃদ্ধি
- মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতি মানেই তরুণদের জন্য সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত হওয়া। বিসিবি নতুন ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে চাইছে, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারই অংশ।
অভিজ্ঞতা হারানোর শঙ্কা
- একজন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের সরে যাওয়া দলের জন্য কিছুটা নেতিবাচক হতে পারে। বিশেষত, চাপের মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহর মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের অভাব অনুভূত হতে পারে।
টি-টোয়েন্টি বা ঘরোয়া লিগে মনোযোগ?
- অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, মাহমুদউল্লাহ এখন থেকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি বা ঘরোয়া লিগে মনোযোগ দিতে পারেন।
ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে মাহমুদউল্লাহর জন্য?
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, ঘরোয়া লিগ বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তিনি দীর্ঘদিন খেলতে পারেন। হয়তো তিনি বিসিবির চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তবে তার ক্যারিয়ারের ইতি এখানেই নয়।
উপসংহার
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার অভিজ্ঞতা, ঠান্ডা মাথার ব্যাটিং এবং সংকট মোকাবিলার দক্ষতা সবসময় দলের জন্য মূল্যবান ছিল। তবে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তার ক্যারিয়ারের এক নতুন মোড়কে নির্দেশ করে।
এটি হয়তো অবসরের ইঙ্গিত নয়, বরং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ। হয়তো তিনি ঘরোয়া ক্রিকেট বা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মনোযোগ দিতে চান, অথবা জাতীয় দলের বাইরে থেকে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন পরিবর্তনের পথে। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা জায়গা করে নিচ্ছে, অভিজ্ঞরা ধীরে ধীরে সরে দাঁড়াচ্ছে। তবে মাহমুদউল্লাহর মতো ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে হয়তো আমরা তাকে নতুন কোনো ভূমিকায়, কোচিং বা মেন্টর হিসেবে, আবার ক্রিকেটের সাথেই যুক্ত হতে দেখব।
JitaBet , JitaWin , এবং JITA88 এ আপনার বাজি রাখুন , তারা সত্যিই ভাল প্রতিকূলতা অফার করে, খেলুন এবং বড় জিতুন!
মন্তব্য করুন