Jita88 Cricket News

ক্রিকেটপ্রেমীদের নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম

,

আবাহনী ১০ জনের দল নিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে

আবাহনী ১০ জনের দল নিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে

আবাহনী ফুটবল উন্মাদনায় বাংলাদেশে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফেডারেশন কাপ, যেখানে ১০ জনের দল নিয়ে অসাধারণ একটি জয় অর্জন করেছে আবাহনী। গতকাল কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এক নাটকীয় মুহূর্তের জন্ম দিয়ে, আবাহনী বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায়। ফুটবল, বাংলাদেশে যে এক বিশেষ উত্তেজনা ও উন্মাদনার সৃষ্টি করে, তা আমাদের সকলের কাছে অজানা নয়। বিশেষ করে ফেডারেশন কাপের মতো প্রতিযোগিতাগুলো দেশের ফুটবল জগতের অন্যতম বড় আকর্ষণ। গতকাল কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই, যেখানে আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব ১০ জনের দল নিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে।

এই ম্যাচটি ছিল অবিশ্বাস্য এক ক্রীড়া কাহিনী, যেখানে একদিকে ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবং অন্যদিকে ১০ জনের দল নিয়ে আবাহনীর দৃঢ় মনোবল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা, অতিরিক্ত সময় এবং টাইব্রেকার—সব মিলিয়ে এক স্মরণীয় ম্যাচের জন্ম দেয়, যা ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকাল গেঁথে থাকবে।

এতে আবাহনী প্রমাণ করেছে যে, দলগত কাজ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং শিরোপা জয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাদের হারানোর কোন সুযোগ দেয়নি। আজকের এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব সেই বিশেষ ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত এবং আবাহনীর অসাধারণ অর্জন সম্পর্কে।

খেলার পরিসংখ্যান: আবাহনী বনাম বসুন্ধরা কিংস

গতকাল অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপ ফুটবলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি ছিল এক ঐতিহাসিক লড়াই। প্রথম থেকেই দারুণ খেলা দেখিয়েছে দুই দলই, তবে শেষ পর্যন্ত আবাহনী এক জয়ের পর শিরোপা জয়ী হতে যাচ্ছে। এই ম্যাচে দুই দলের জন্য চরম উত্তেজনা ছিল, যেহেতু খেলা শেষ হয়েছে টাইব্রেকারে।

নির্ধারিত সময়ের পর, খেলাটি ছিল ১-১ গোলে সমতা, তবে অতিরিক্ত সময়েও কোন দলই জয় লাভ করতে পারেনি। ফলে টাইব্রেকারে যেতে বাধ্য হয় দু’দল। টাইব্রেকারে আবাহনী ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে ফাইনালে ওঠে।

আবাহনীর একাদশে পরিবর্তন ও কৌশল

এই ম্যাচে আবাহনীর দলের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে আবাহনীর খেলোয়াড় আসাদুজ্জামান বাবলু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, ফলে ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে বাধ্য হয় আবাহনী। তবে, এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতেও আবাহনী মাঠে নিজেদের খেলা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের লড়াইয়ের মন্ত্র ছিল একে অপরকে সহায়তা করা, যা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছিল।

বসুন্ধরা কিংসের লিড নেওয়া

৫৬ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের জোনাথনের লম্বা শটে পা লাগিয়ে মজিবুর রহমান জনি আবাহনীর জালে বল পাঠান। এতে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলের লিড নেয়। তবে, এক জন কম থাকার পরেও আবাহনী দমে যায়নি। তারা সমতা আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যায়।

আবাহনীর গোল ও ম্যাচের বাঁক পরিবর্তন

ফুটবল ম্যাচের অন্যতম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত আসে ৮৭ মিনিটে। আবাহনীর আরমান ফয়সাল আকাশ একটি দুর্দান্ত গোল করে ম্যাচে সমতা এনে দেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে আবাহনীর আরও একটি সুযোগ আসে, তবে মোহাম্মদ হৃদয়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অবশেষে, টাইব্রেকারেই দুই দলের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।

টাইব্রেকার এবং আবাহনীর জয়

টাইব্রেকারে বসুন্ধরা কিংসের শট ঠেকিয়ে আবাহনীর মিতুল মারমা তাদের রক্ষা করেন। কিংসের রাহুলের শটও ঠেকিয়ে দারুণভাবে আবাহনীকে সমর্থন দেন। আবাহনী তাদের শটগুলো থেকে সফলতা পায়, এবং পরিশেষে ইব্রাহিম গোল করে আবাহনীকে জয়ী করে তোলে। ফলস্বরূপ, আবাহনী ফাইনালে চলে যায়।

ফাইনাল দৃষ্টিকোণ

এখন, আবাহনীকে ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। আবাহনী যে শুধু ফাইনালে পৌছেছে তা নয়, তারা প্রমাণ করেছে যে, দলগতভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে তারা যেকোনো বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করতে সক্ষম।

FAQs

  1. আবাহনী কোন দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে?
    • আবাহনী বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে।
  2. ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কী ফল হয়েছে?
    • আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে খেলা ১-১ গোল সমতা রেখে অতিরিক্ত সময়ের পর টাইব্রেকারে আবাহনী ৪-২ গোলে জয়ী হয়।
  3. আবাহনীর কোন খেলোয়াড় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন?
    • আবাহনীর আসাদুজ্জামান বাবলু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
  4. বসুন্ধরা কিংস কবে লিড নেয়?
    • বসুন্ধরা কিংস ৫৬ মিনিটে লিড নেয়।
  5. ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ কে?
    • ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ।
  6. বসুন্ধরা কিংসের গোলের জন্য কে দায়ী ছিলেন?
    • বসুন্ধরা কিংসের গোলের জন্য মজিবুর রহমান জনি দায়ী ছিলেন।

উপসংহার

আবাহনীর এই জয় ফেডারেশন কাপের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। ১০ জনের দল নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া আবাহনীর কষ্টসাধ্য ও অসাধারণ অর্জন। এই ম্যাচে আবাহনী প্রমাণ করেছে যে, দলগত সমন্বয় এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে কোনো বাধাই তাদের রুখতে পারে না। ফাইনাল ম্যাচে তাদের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, যেখানে তারা শিরোপা জয়ের জন্য আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ফুটবলপ্রেমীরা এখন আবাহনীর পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, এবং তারা আশা করছেন যে আবাহনী তাদের লড়াইয়ের মাধ্যমে শিরোপা জয় করবে। এই জয় শুধু আবাহনীর জন্য নয়, দেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্যও একটি গর্বের মুহূর্ত।

JitaBet ,  JitaWin , এবং  JITA88 এ আপনার বাজি রাখুন  , তারা সত্যিই ভাল প্রতিকূলতা অফার করে, খেলুন এবং বড় জিতুন!


Tags

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Follow Us On Social Media